Posted on: August 19, 2024 Posted by: Editor Desk Comments: 0
Spread the love

ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদী : যাদুকাটা বা যদুকাটা নদী

———————————————————–

 বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী

************************************

রেণুকা হচ্ছে যাদুকাটা নদীর আদি নাম। জনশ্রুতি আছে, নদী তীরবর্তী কোন এক গাঁয়ের বধূ তার শিশুপুত্র যাদুকে কোলে নিয়ে এই নদীর মাছ কাটছিলেন এক পর্যায়ে অন্যমনস্ক হয়ে মাছের জায়গায় তার কোলের শিশুকে কেটে ফেলেন। পরবর্তীতে সেই প্রচলিত কাহিনি থেকেই নদীটির নাম হয় যাদুকাটা নদী।

    নদীটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ও সুনামগঞ্জ জেলার ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের একটি নদী। এর দৈর্ঘ্য ৩৭ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫৭ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক যাদুকাটা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৭২। যাদুকাটা নদীর গভীরতা ৮ মিটার এবং অববাহিকার আয়তন ১২৫ বর্গকিলোমিটার। এই নদীতে সারা বছরই পানিপ্রবাহ থাকে। তবে সাধারণত স্বল্প বন্যায় নদীর দু-কূল প্লাবিত হয়। দেশের খনি শিল্পে নদী ব্যাপক অবদান রয়েছে।

যাদুকাটা নদী ভারতের খাসিয়া ও জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুরে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে তাহিরপুরের মধ্যে নদীটি প্রবেশ করে ঈষৎ দক্ষিণ-পূর্বমুখী হয়ে এঁকেবেঁকে পুনরায় বিশ্বম্ভরপুরে প্রবেশ করেছে। বিশ্বম্ভরপুর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের জামালগঞ্জ উপজেলা শহরের নিকট নয়া সুরমা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এই নদীর তীরে অবস্থিত বাংলাদেশের আনোয়ারপুর ও দুর্লভপুর নদীবন্দর।

যাদুকাটা নদী সুনামগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ ভারতের উত্তর পূর্ব সীমান্তের কোল ঘেঁষে বয়ে চলেছে। 

 মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড় হতে বয়ে চলে যাদুকাটা নদীটি প্রায় ২০ মাইল পর্যন্ত গিয়ে ‘রক্তি’ নামে সুরমা নদীতে এসে মিলিত হয়েছে। নদীর এক পাড়ে দেখা যায় সবুজ বৃক্ষরাজি ময় বারেক টিলা ও অন্য দিকে খাসিয়া পাহাড়।

       নদীটির দৈর্ঘ্য ৩২ কিলোমিটার, প্রস্থ ১০০ মিটার, গভীরতা ৮ মিটার এবং অববাহিকার আয়তন ১২৫ বর্গকিলোমিটার। এই নদীতে সারা বছরই জলপ্রবাহ থাকে। তবে সাধারণত স্বল্প বন্যায় নদীর দু-কূল প্লাবিত হয়।

যাদুকাটা নদী ভারতের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় হতে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুরে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে তাহিরপুরের মধ্যে নদীটি প্রবেশ করে ঈষৎ দক্ষিণ-পূর্বমুখী হয়ে একেবেকে পুনরায় বিশ্বম্ভরপুরে প্রবেশ করেছে। বিশ্বম্ভরপুর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা শহরের নিকট নয়া সুরমা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এই নদীর তীরে অবস্থিত আনোয়ারপুর ও বাংলাদেশের দুর্লভপুর নদীবন্দর।

[পাঠকের প্রতি বিশেষ অনুরোধ লেখাটি পড়ে অবশ্যই মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে দেবেন ।]

 

—————–‐————————————-

লেখক : অনুপ হালদার,

নদী গবেষক ও পরিবেশ কর্মী

মো.ও হো.9143264159


Spread the love

Leave a Comment