
নবজাগরণের পথিকৃৎ রাজা রামমোহন রায় কে উপযুক্ত শ্রদ্ধা জানালো রাখী পত্রিকা :
নিজস্ব প্রতিবেদন : নদিয়া জেলার সর্বপ্রথম মরণোত্তর চক্ষুদান ও দেহদান আন্দোলনকারী, কুসংস্কার বিরোধী সাহিত্য বিজ্ঞান সংগঠন ‘রাখী পত্রিকা‘-র একটি শাখা রূপে নদীয়া জেলার বেথুয়াডহরী তে ২০২৫ সালের ২২শে মে রাজা রামমোহন রায়ের জন্ম দিবস উপলক্ষে ঘরোয়া একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সূচনা করা হল ‘শ্যামল রঞ্জন সরকার স্মৃতির শিক্ষালয়’ এর। এই শিক্ষালয়ের তত্ত্বাবধানে আবৃত্তি, অঙ্কন, সঙ্গীত, নেইল আর্ট অ্যান্ড এক্সটেনশন, এমব্রয়ডারি, যোগব্যায়াম, স্পোকেন ইংলিশ প্রভৃতি বিষয় শেখানো হবে। প্রতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বিজ্ঞানের কর্মশালা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই কেন্দ্রের সম্পাদক অর্কজিৎ সেন তথা সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা নবজ্যোতি চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী দে , দীপা রায়, রিয়া দাস। রাজা রামমোহন রায়ের সম্পর্কে এই কেন্দ্রের সম্পাদক অর্কজিৎ সেন সভা শুরু হওয়ার মুহূর্তে কিছু কথা বলেন। এরপর শিক্ষিকা সুকন্ঠী দীপা রায় মহাশয়া “মহারাজ, একি সাজে এলে হৃদয়পুরমাঝে!

চরণতলে কোটি শশী সূর্য মরে লাজে ॥” রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে সুরমূর্ছনায় সকলকে মোহিত করেন। এই কেন্দ্রের অন্যতম মুখ্য উপদেষ্টা নাকাশীপাড়া হাই স্কুল (উঃমাঃ) এর প্রধান শিক্ষক
ড. অমিত কুমার দত্ত মহাশয়। উনি ওনার মতন করে শিক্ষা তথা কর্মজীবনের মাহাত্ম্য সকল শ্রোতার সামনে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমাদের আরেক উপদেষ্টা সীমা নন্দী মহাশয়া। দীর্ঘদিন যাবত উনি ওনার স্বপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ‘নূপুর নৃত্য শিক্ষণ কেন্দ্র’ এর দ্বারা জনমানসে গভীরভাবে সংস্কৃতিমনস্কতার বিস্তার করে চলেছেন। উনি সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্ব তথা এর ফলে মানব মনে প্রভাব এই নিয়ে উনি খুব সুন্দর করে নিজের বক্তব্য পরিবেশন করেছেন।

এই কেন্দ্রে একটি গ্রন্থাগারের উদ্বোধন সূচনা পর্বে করা হল। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ, বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ, ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি, বিজ্ঞান অন্বেষক, গোবরডাঙ্গা গবেষণা পরিষৎ প্রভৃতি প্রকাশনার বিভিন্ন বই এবং ধনধান্যে, সাইন্স রিপোর্টার, বিজ্ঞান অন্বেষক, জ্ঞান ও বিজ্ঞান, জীব বৈচিত্র সুরক্ষাবার্তা, এ যুগের কিশোর বিজ্ঞানী, জনবিজ্ঞানের ইস্তাহার প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের বিভিন্ন পত্রিকা রয়েছে। আমরা সবাই আন্তরিকভাবে আশা করছি আপনাদের সকলের সহায়তায় আমার আপনার আপনাদের আমাদের সকলের *’শ্যামল রঞ্জন সরকার স্মৃতি শিক্ষালয়’* এই কেন্দ্র আরো অনেক বৃহৎ আকারে গড়ে উঠবে।

‘শ্যামল রঞ্জন সরকার স্মৃতি শিক্ষালয়’ এর প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষিকারা ফুলের আতিশয্যে রাজা রামমোহন রায় কে সাজাতে চাননি। প্রদীপ ধূপকাঠি দিয়ে বরণ করে রাজা রামমোহন রায় কে ঈশ্বর বানাতে চাননি। বরঞ্চ তার ভাবনা তার বোধ সমাজের প্রতি তার দায় দায়িত্ব সর্বোপরি তার সংস্কারক উদার মনকে আমরা প্রত্যেকে যাতে ধারণ করতে পারি, আন্তরিকভাবে সেই চেষ্টাই সকলে করছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা