Posted on: May 16, 2025 Posted by: Editor Desk Comments: 0
Spread the love

পরিবেশ সচেতনতা ও পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষে ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি’র আহ্বানে ৫-১২ জুন ২০২৫ ‘পরিবেশ বাঁচাও সপ্তাহ’ পালন করুন।

সাথী,

     বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত সমস্যা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে নানারকম স্থানীয় পরিবেশগত সমস্যা যা সমগ্র জনজীবনকে ভয়ঙ্কর ঝুঁকির সম্মুখীন করেছে। ক্রমবর্ধমান উষ্ণায়ন, তাপপ্রবাহ, পরিবর্তিত বৃষ্টিপাত, ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যা, শুষ্ক ও আর্দ্র আবহাওয়ার মধ্যে দ্রুত পরিবর্তন আজ ভারতবর্ষ সহ সারা বিশ্বের জনজীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত, মানব সমাজের নানান ক্রিয়াকলাপের ফলে অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে গত ১০০ বছরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে যা জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করেছে। পরিসংখ্যান বলছে, যদি একই হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ঘটতে থাকে তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এই গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছবে এবং বিশ্ব পরিবেশ পরিবর্তিত হয়ে একটি চরম অবস্থায় পৌঁছবে। বিশ্বব্যাপী ইকোসিস্টেম স্থায়ীভাবে পরিবর্তিত হয়ে অন্য একটি স্থিতিশীল অবস্থায় যাবে যা আর কখনও পূর্বাবস্থায় ফেরানো সম্ভব হবে না। উদাহরণস্বরূপ, গ্রিনল্যান্ড এবং মেরু অঞ্চলের বরফস্তর এবং পর্বত হিমবাহগুলি স্থায়ীভাবে ধসে পড়তে শুরু করবে। ছয়টি ইকোসিস্টেম, যেমন গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম আন্টার্কটিক বরফস্তরের পতন, নিম্ন অক্ষাংশ বা গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রবাল প্রাচীরের ব্যাপক ধ্বংস, এবং পারমাফ্রস্টের আকস্মিক গলন ঘটবে যেগুলির টিপিং পয়েন্ট ১.৫ থেকে <২°C উষ্ণতার মধ্যে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২০৫০ সালের মধ্যে ০.৫ মিটার পর্যন্ত বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ফলে বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা জলে ডুবে যাবে।

এই ইকোসিস্টেমগুলি ধ্বংসের পাশাপাশি, আরও ঘন ঘন নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে চরম পরিবেশগত পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রত্যক্ষ করছি সাম্প্রতিক কালে কিভাবে আঞ্চলিক ও স্থানীয় বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, ধুলিঝড়, তাপপ্রবাহের মত ঘটনা অনেকগুন বেড়ে গেছে। বাড়ছে হিমালয়ের ভূমিধস এবং বনাঞ্চলগুলিতে আগুন লাগার মত ঘটনা। এছাড়াও উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে মহাসাগরের জলস্রোতের পরিবর্তন, মহাসাগরের অম্লতা বৃদ্ধি, সমুদ্রজলে বিওডি (BOD) বা দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যাওয়া এবং ভারতের মৌসুমি বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন ইত্যাদি পরিবেশগত পরিবর্তন বাড়ছে। ভয়াবহ বন্যা ও খরায় কৃষকরা তাদের ফসল হারাচ্ছেন। তাই জলবায়ু পরিবর্তন সর্বসাধারণ মানুষের জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।

অর্থনৈতিক ক্ষতির পূর্বাভাসঃ

বিভিন্ন সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতি ভয়ঙ্কর সংকটের মুখে এবং তাদের হিসেব বলছে আগামী ৫০ বছরে দুনিয়ার মোট জিডিপি-র ৫০% ক্ষতি হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে। গড়ে প্রতি ডিগ্রী তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের জিডিপিতে ক্ষতির পরিমাণ হবে প্রায় ১২%। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে বিগত ৫ বছরে ভারতে বিমা সংস্থার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য। আমেরিকা, অস্ত্রেলিয়া, ইউরোপ, কানাডা, ভারতবর্ষ সহ বিভিন্ন দেশে বিগত কয়েক বছরে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগে (খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, দাবানল ইত্যাদি) জীবনহানি ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি বহুগুন বেড়ে গিয়েছে এবং এর বিমা সংস্থাগুলি শত শত বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সম্পত্তি বিমা ও স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম প্রতি বছর প্রায় ৮-১০% বৃদ্ধি ঘটছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কে’র গত বছরের রিপোর্ট অনুযায়ী উচ্চ মাত্রায় কার্বন নিঃসরণের জন্য বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতে ৫ কোটি নাগরিক দারিদ্র সীমার আবর্তে ঢুকে পড়বে এবং আড়াই লক্ষ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হবে।

সামাজিক ক্ষতিঃ

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ উদবাস্তু হয়ে যাচ্ছে। শুধু মাত্র আম্ফান সাইক্লোনের ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশাতে ২.৪ মিলিয়ন মানুষ গৃহচ্যুত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলে জীবন জীবিকা হারানো মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এবং তার কারণে ঐ সব অঞ্চলে শিশু ও নারী পাচার বহুগুন বেড়ে গিয়েছে। ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫৩,৬৫৫ জন নারী ও ১২,৪৫৫ জন শিশু হারিয়ে যাওয়ার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের মানবসৃষ্ট প্রধান কারণগুলি হল : ১) CO₂ এবং সমতুল্য অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বৃদ্ধি ২) বন উজাড় ৩) শিল্প কার্যকলাপ এবং খনির জন্য ভূমির ব্যবহার পরিবর্তন। এগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন, বিশেষ করে CO₂ ও এর সমতুল্য গ্যাস যেমন মিথেন, নাইট্রোজেন অক্সাইড, ওজোন, ফ্লুরোকার্বন ইত্যাদি। বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন এবং শিল্প খাত মিলিয়ে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন ঘটায়। বিগত ১৭৫১-২০১৭ সাল পর্যন্ত একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, মানব সৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে আমেরিকার অবদান ২৫%, ইউরোপের ২২.৭%, চীনের ১২.৭%, রাশিয়া ৬%, জাপান ৪%, ভারত ৩%। মুনাফার স্বার্থে নিয়ন্ত্রিত এই উৎপাদন ব্যবস্থায় খাদ্য ও ব্যবহারিক দ্রব্য উৎপাদন, বাসস্থান, পরিবহন, নগরায়ন ইত্যাদি কার্যকলাপের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহা্রের ফলে যেমন ব্যাপক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ঘটছে, তেমনি যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদন, যুদ্ধাস্ত্র সরবারহ এবং যুদ্ধের কারণে যে বিশাল পরিমান গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ঘটছে, তা আজ বিশ্ব পরিবেশের ক্ষেত্রে মারাত্মক সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। যুদ্ধ একদিকে পরিবেশে মাত্রাতিরিক্ত গ্রিন হাউস গ্যাস ও দূষিত পদার্থ নির্গমন করে অন্যদিকে বাস্তুতন্ত্র, মাটির চরিত্র ও জীব বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করে। শুধুমাত্র যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদন এবং যুদ্ধ বিশ্বে মোট নির্গমিত গ্রিন হাউস গ্যাসের ৫.৫% অবদান রাখে। বিগত দুই দশকে আমেরিকা যুদ্ধ বাধিয়ে ১.২ বিলিয়ন মেট্রিক টন গ্রিনহাউস গ্যস নির্গমন করেছে।

বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হলেও বর্তমানে প্রতি বছর ১২ গিগাটন CO₂ নির্গমনকে কমিয়ে ২ গিগাটনে নামিয়ে আনতে হবে।

কিভাবে এবং কারা করবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের এই নিয়ন্ত্রন?

যেহেতু গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে শিল্পোন্নত দেশ ও বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির ভুমিকা বেশী, তাই সেই সমস্ত দেশের সরকার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হার কমানোর দায়িত্বও বর্তায়। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে উন্নত দেশগুলির পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ গুলির বিকাশ ঘটানো এবং ঐ সমস্ত দেশে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে রূপান্তর সম্ভব শক্তির সন্ধান করা ইত্যাদি ন্যায়সঙ্গত দাবি উঠলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের উন্নত দেশগুলি সহ চীন, রাশিয়া প্রভৃতি উন্নত দেশগুলি সেই দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছে না। অন্যদিকে তারা ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ সহ অনুন্নত দেশগুলিকেই কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে এবং বনসৃজন করার উপদেশ দিচ্ছে।

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে করণীয় পদক্ষেপঃ

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য দেশের সরকারগুলিকে উৎপাদন ও পরিবহনের সমস্ত খাতে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটিয়ে এক বিশাল পরিবর্তন আনতে হবে যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে এবং অন্যান্য রূপান্তর যোগ্য ও পরিবেশ বান্ধব শক্তির ব্যবহারকে জোর দিতে হবে। পরিবেশ রক্ষার এই কাজ প্রতিটি দেশের সরকারকে কর্তৃক কঠোর পরিবেশ নীতি প্রণয়ন এবং নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সমস্ত দেশকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে IPCC এবং UNFCCC বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত গুলিকে মান্যতা দিতে হবে।

তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমানোর জন্য সরকার ও শিল্প গোষ্ঠীগুলির কাছে আমাদের দাবি করতে হবে-

১. CO₂ নির্গমন কমানোর জন্য COP26 – গ্লাসগো (২০২১) সম্মেলনের প্রতিশ্রুতিগুলি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

২. জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নতুন লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জলবিদ্যুৎ, সৌর ও বায়ু শক্তি ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় পরিবেশ, কৃষিজমি এবং চারণভূমির উপর খুব বেশি প্রভাব যাতে না ফেলে সেটা দেখতে হবে।

৩. শিল্প, বাণিজ্যিক ভবন, আইটি পার্ক, শপিং মল ইত্যাদিতে শক্তি ও জলের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি প্রয়োগ করতে হবে।

৪. সাশ্রয়ী মূল্যের ইলেকট্রিক চালিত গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

৫. শুধুমাত্র সরকারী কর্মকর্তা বা সরকারি অর্থপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ নয়, পরিবেশবিদ, আবহাওয়া বিজ্ঞানী ও জনগণের প্রতিনিধি নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের পরামর্শ ও নজরদারি করার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে হবে।

৬. যুদ্ধ ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ এগুলো পরিবেশ দূষণ করে, পুনর্গঠনের প্রয়োজন সৃষ্টি করে এবং সংশ্লিষ্ট শিল্প সহ যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদনকারী শিল্পগুলিকে সক্রিয় রাখে, ফলে আরও বেশী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ঘটে।

৭. বন উজাড়, চাষযোগ্য জমি দখল, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন এবং স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করে এমন প্রকল্পগুলিকে অনুমোদন দেওয়া চলবে না।

আঞ্চলিক ও স্থানীয় পরিবেশ দূষণঃ

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত পরিবেশ সংকট ছাড়াও আঞ্চলিক ও স্থানীয় পরিবেশ দূষণ আজ জনজীবনকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতি করছে। এর ফলে বাস্তুতন্ত্র ধবংসের পাশাপাশি জল দূষণ ও জল সংকট, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ সহ নানারকম রোগ জীবাণু বাড়ছে এবং সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য হানি সহ জীবন-জীবিকার সংকট দেখা দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলায় স্পঞ্জ আয়রন শিল্প অন্যান্য শিল্প দূষণ, বেআইনি ভাবে বনভুমি উজাড় ও গাছ পালা কেটে ফেলা, জলাশয় ও ভেড়ি ভরাট করে নগরায়ন করা, অবৈধভাবে পাহাড় ধ্বংস করা, অবৈধ বালি উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে বন্যা সৃষ্টি, যত্রতত্র আবর্জনা নিক্ষেপ, প্লাস্টিক দূষণ ইত্যাদি পরিবেশ হানিকর ঘটনা ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তাই আমরা ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির পক্ষ থেকে পরিবেশ সচেতনতা ও পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ৫-১২ জুন ২০২৫ ‘পরিবেশ বাঁচাও সপ্তাহ’ পালন করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আপনারা সর্বত্র বিশ্বউষ্ণায়ন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও পরিবেশগত অবক্ষয়, পরিবেশ বান্ধব শক্তির সন্ধান ইত্যাদি বিষয়ে সেমিনার ও আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী, দাবী পোস্টার নিয়ে পদযাত্রা এবং আঞ্চলিক পরিবেশ সমস্যা নিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচী গ্রহণ করার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলুন।

ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্যব্যাপী পরিবেশ সচেতনতা ও শক্তিশালী পরিবেশ আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে আগামী ১২ জুন ২০২৫ তারিখে দুপুর ২ টায় কলকাতার কলেজস্কোয়ারে জমায়েত হয়ে এক বিশাল পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি এই পদযাত্রায় আপনি আপানার পরিচিতদের নিয়ে যোগদান করবেন এবং জনসাধারণের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করবেন।

ধন্যবাদান্তে

ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি

 

 

 

 

 

 


Spread the love

Leave a Comment