বিজ্ঞান মডেল প্রদর্শনী ও বইমেলা

বারাসাত সিটিজেন্স ফোরামের অনন্য সাহচর্যে ১৯ ও ২০ অক্টোবর, ২০২৪ বিজ্ঞান মডেল প্রদর্শনী ও বইমেলা :

ডঃ ঐন্দ্রিল ভৌমিক, দীপক চক্রবর্তী, শ্যামল ঘোষ ও আমি আজ থেকে প্রায় চারমাস আগে সিদ্ধান্ত নিলাম যে বারাসাত সিটিজেন্স ফোরামের অনন্য সাহচর্যে ১৯ ও ২০ অক্টোবর, ২০২৪ ঐ ফোরামের তিন তলায় বিজ্ঞান মডেল প্রদর্শনী ও বইমেলা হবে। আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন সত্যি হবে। বারাসাতের বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাননীয় শিক্ষক ও মাননীয়া শিক্ষিকাদের ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ ও আবেগপুষ্ট আমন্ত্রণ জানালাম। শ্যামল বাবু নিজে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান।

যাই হোক সহায়তা ও আলোকময় উপস্থিতি পেলাম বাবলী ম্যাডাম, সোনালী ম্যাডাম ও প্রত্যুষের কাছ থেকে। শ্যমলদার আমন্ত্রণে উপস্থিত হয়েছে বনমালীপুর সন্তোষ ভট্টাচার্য মেমোরিয়াল হাইস্কুল।
প্রচুর বই নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ‘কথন’, ‘চেতনা’, ‘প্রনতি প্রকাশন’, ‘ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী অশোক নগর’, ‘বিজ্ঞান দরবার’ ,পশ্চিম বঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ’ ও ‘হালিশহর বিজ্ঞান পরিষদ’। বই কিছু বিক্রি হয়েছে। দর্শক কম। কারন প্রচার কম ও তিনতলায় লোকজন উঠতে অনিহা। যাই হোক কিছু তো হলো।
মোট এগারোটি মডেল এসেছিল:
জল বিদ্যুৎ, তারহীন বিদ্যুত যোগাযোগ, চন্দ্রগ্ৰহণ ও সূর্য গ্ৰহণ, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, গ্রীন হাউজ, বর্জ্য দিয়ে বুদ্ধির খেলা, খেলতে খেলতে শেখা, লাইট হাউস, দেখো পারো কিনা, জলের তড়িৎ বিশ্লেষণ ও জল দূষণ। গুনমানে মধ্যম মানের মডেল। তবুও তো অংশগ্রহণ করেছে। কয়েক জন শিক্ষক ও দিদিমনির আন্তরিকতায় সফলতা পেল এক অনন্য উদ্যোগ। যুগ্ম তৃতীয় হয়েছে প্রত্যুষ ও সত্য ভারতী বাণী নিকেতন বালিকা বিদ্যালয় ; দ্বিতীয় হয়েছে বনমালীপুর সন্তোষ ভট্টাচার্য মেমোরিয়াল হাইস্কুল ও প্রথম হয়েছে বারাসাত মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাইস্কুল।
বিচারক ছিলেন বসিরহাট এইচ এম ভি বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী দরদী মহাপ্রাণ শিক্ষিকা চন্দ্রা মিত্র। আমি তার কাজে সহায়তা দিয়েছি।

একটু অন্য কথা বলি ১৯৮৮ থেকে আমার মোবাইল রসায়ন ল্যাবরেটরি নিয়ে বহু বিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করার সুযোগ পেয়েছি। আমার তৈরি পর্যায় সারণী অল্প কয়েকজন দেখেছে। এখানে আমার ‘ঘরে ঘরে রসায়ন’ ঠাই পেয়েছে।
বারাসাতের প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে আমার ল্যাবরেটরি প্রদর্শন করতে আবেদন করেছি। বিশেষ সাড়া পাইনি।
#যদি_তোর_ডাক_শুনে_কেউ_না_আসে_একলা_চলোরে একথায় আমার বিশ্বাস নেই।
যে আনন্দে অনেক নেই তা আনন্দ নয়। অন্ধকার।

প্রতিবেদক: অসীম বসাক।