
সুপ্রিয় বন্ধু,
দেশ ও সমাজের বড় বিপদ, শুকাচ্ছে নদীর জল।কেবল আমাদের দেশেরই নয় সারা পৃথিবীতে।ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র।বিজ্ঞানীরাও বলছেন পৃথিবী টিঁকে থাকবে কীটপতঙ্গ, পশুপাখি, জলজ প্রাণী ও মানুষের সম্মিলিত প্রয়াসে।আমাদের বর্জ ও নানা দূষণকে নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে, পৃথিবীর নিরীহ প্রাণকে বাঁচিয়ে রাখতে।
বাঁচিয়ে রাখতে হবে নদ-নদী জলাশয়।নদীর অবিরত ও নির্মল জলধারাকে বাঁচিয়ে রাখতে আগামী ১৮ অগাস্ট, রবিবার বিকেল ৫:৩০ মিনিটে খড়দহ ডব্লু.সি.স্পোর্টিং ‘র মাঠের কাছে ‘বামী প্যালেস’ এ একটি আলোচনা সভায় মিলিত হতে চাই।খড়দার ১৩ টি সংগঠন এই কাজে সামিল হয়েছেন।আপনাকেও আমরা পাশে পেতে চাই।
ধন্যবাদ সহ,
স্বা. সুদীপ চ্যাটার্জি,
আহ্বায়ক, ভাগীরথী নদী বাঁচাও আন্দোলন ও গঙ্গা উৎসব, ২০২৪
১০ অগাস্ট, ২০২৪
===============================
প্রজাপতি কমে যাচ্ছে আমাদের চারপাশে।পাখি কমছে।নদীতে মাছ কমছে।নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতি।আগে আমরা ভাবতাম এই পৃথিবী, মানুষের জন্য।এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন পৃথিবী টিঁকে থাকবে, কীটপতঙ্গ, পশুপাখি, জলজ-প্রাণী এবং মানুষের যৌথপ্রয়াসে।জীববৈচিত্র গাছপালা আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।কলকারখানার বর্জ নদীতে ফেলা হয়, সর্বস্তরের দূষণ আমাদের জীববৈচিত্রকে ধ্বংস করছে।
নদীতে মাছ থাকছে না।বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণের প্রজনন ক্ষমতা কমছে।নদীতে জল কমে যাচ্ছে।কখন ভয়ঙ্কর জলস্ফীতি, শুখা মরসুমে জলের অভাবে মরছে নদী।নদীবাঁধে খাত পরিবর্তিত হচ্ছে।কেবল আমাদের দেশে নয়, পৃথিবীর দেশে দেশে নদী শুকিয়ে যাচ্ছে।নদীর জল, মাটির তলার জল যথেচ্ছভাবে আমরা তুলে নিয়ে চাষের কাজ সহ ঠান্ডা-পাণীয় ও বোতলবন্দী জল তৈরীতে কাজে লাগাচ্ছি।এতে ভূগর্ভস্থ জলস্তরেও বিপদের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।নদীতীরেই পৃথিবীর সব সভ্যতা গড়ে উঠেছিল।নদীতে জল না থাকলে আমাদের সভ্যতা বাঁচবে?জীবন বাঁচবে? দেশের সরকারী সংস্থারাও বলছে, প্রচন্ড জলসংকট আসতে চলছে এক দশকের মধ্যে।আমাদের কী এখনই সতর্ক হওয়া উচিৎ নয়?
আগামী ২১-২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, খড়দার রাসখোলা ঘাটে নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও কমিটি এবং খড়দহের ১৩ টি সংগঠন মিলে ‘ভাগীরথী নদী বাঁচাও আন্দোলন’ ও গঙ্গা-উৎসবে সামিল হতে চলেছি।প্রকৃতি সমাজ ও দেশ বাঁচাতে আপনিও এই শুভউদ্যোগে সামিল হ’ন।
ধন্যবাদ সহ,
বিহরণ,মিতালী সংঘ,খড়দহ লোকসংস্কৃতি মঞ্চ, কলকাতা শ্রুতিজাতক, খড়দহ বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, উত্তরণ, খড়দহ সংস্কৃতি অঙ্গন,আশ্বাস,মাটির সুর, অন্বেষণ, সোদপুর বিজ্ঞান চেতনা, নিরন্তর এবং
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ
নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও আন্দোলন।
অনুষ্ঠানসূচি :
বিকেল ৫:৪০ সূচনা সঙ্গীত
বিকেল ৫:৪৫ আহ্বায়কের বক্তব্য ও সভাপতি নির্বাচন
বিকেল ৫:৫০ সভাপতির বক্তব্য (জীব বৈচিত্র ও নদী নালা প্রসঙ্গ)
বিকেল ৬:০০ শ্রী তাপস দাস, যুগ্ম আহ্বায়ক, নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও আন্দোলন।(সংগঠন কথা, নদী বাঁচাও আন্দোলনে পরিপ্রেক্ষিত)
বিকেল ৬:১০ শ্রী পিনাকী আচার্য (কেন নদী বাঁচাতে হবে)