Posted on: July 29, 2024 Posted by: Editor Desk Comments: 0
Spread the love

একে একে চলে যাচ্ছেন বিজ্ঞানজগতের অনেকেই৷ এবার স্টিভেন ওয়েনবার্গ৷ সায়েন্স নিউজে প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে বিজ্ঞান সাংবাদিক টম সিগফ্রিড শুরু করেছেন এইভাবে “Mythology has its titans. So do the movies. And so does physics. Just one fewer now.” সত্যিই তো কমে আসছেন এই মানুষগুলো৷ ইহুদী পরিবারের সন্তান স্টিভেনের জন্ম নিউইয়র্ক সিটিতে ১৯৩৩ সালে৷ কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কোপেনহেগেনের নিলস বোর ইন্সটিটিউটে উচ্চশিক্ষা শেষে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি এইচ ডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি, থিসিসের শিরোনাম The role of strong interactions in decay processes, সুপারভাইজার ছিলেন স্যাম ট্রিম্যান৷ কণা পদার্থবিজ্ঞানে ‘স্ট্যান্ডার্ড মডেল’ কথাটির প্রচলন করেছিলেন ট্রিম্যান৷ 

১৯৬৭ সালে জার্নাল অফ ফিজিকাল রিভিউ লেটার-এ মাত্র তিন পৃষ্ঠার এক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন স্টিভেন ওয়েনবার্গ, শিরোনাম, A Model of Leptons৷ এই প্রবন্ধে W, Z এবং হিগস বোসোনের বৈশিষ্ট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বানুমান করেছিলেন তিনি, অথচ তখনো পরীক্ষামূলকভাবে এইসব মৌলিক কণাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ ইলেকট্রোম্যগনেটিক ফোর্স এবং উইক ফোর্সের মধ্যে সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই গবেষণা প্রবন্ধটি৷ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসাবে ১৯৭৯ সালে শেলডন গ্ল্যাশো ও আবদুস সালামের সঙ্গে পদার্থবিদ্যার নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন ওয়েনবার্গ৷ পদার্থবিদ্যার জগতের মৌলিক ধারণাগুলোকে সাধারনের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেও উদ্যোগী হয়েছিলেন বিজ্ঞানী৷ The First Three Minutes নামে আস্ত একখানা জনপ্রিয় বিজ্ঞান বই লিখেছিলেন তিনি৷ ১৯৭৭ সালে লেখা বইটি আজও পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়৷ মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থা নিয়ে যখন এই বই লেখা হচ্ছে তখনো স্টিফেন হকিং ‘ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম’ বইটির কথা ভেবে ওঠেননি৷ পরে Dreams of a Final Theory, The Discovery of Subatomic Particles এবং To Explain the World, ইত্যাদি আরো কয়েকটি জনপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি৷

জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অস্টিনে অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত ছিলেন ওয়েনবার্গ৷ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেই জানানো হয় প্রায় সপ্তাহখানেক ধরেই হসপিটালে চিকিৎসারত ছিলেন তিনি, অবশেষে দু’দিন আগে (২৩ শে জুলাই, ২০২১) ৮৮ বছর বয়সে থেমে যায় এই মহাজীবনের পথচলা৷

[পাঠকের প্রতি বিশেষ অনুরোধ লেখাটি পড়ে অবশ্যই মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে দেবেন ।]

 

‐———————————————————

লেখক : ড.অমিতাভ চক্রবর্তী


Spread the love

Leave a Comment