গাছ নিয়ে ” ন্যাসগ্রুপ ” এর কয়েকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কথা। বিষয়টি একটিবার ভেবে দেখা যেতে পারে :
ক)
একমাত্র
মানুষই গাছ কাটে।
সেই গাছ দিয়ে কাগজ তৈরি করে। আর
সেই কাগজেই লেখে-
“গাছ লাগান জীবন বাঁচান”।
অথবা “একটি গাছ অনেক প্রাণ”। আরও কিছু।
খ)
আজকাল গাছ উপহার
দেওয়া একটি খুব ভালো সামাজিকপ্রথা
প্রচলন হয়েছে। কিন্তু
সংগে জমিটুকু না
দেখিয়ে দিলে
গাছের মৃত্যু আঁতুরঘরেই
হয়ে যাচ্ছে।
গ)
বিশিষ্টজনদের গাছ উপহার দিলে
হাইড্রোফোনিক ট্রি অথবা
ইন্ডোর অর্নামেন্টাল ট্রি দেওয়াই
শ্রেয়। বিশিষ্টজনের বাংলোবাড়ি, সরকারি
আবাসন অথবা ফ্ল্যাটবাড়িতে
এই গাছগুলোই
উপযুক্ত।
ঘ)
রাস্তার ধারে গাছ
লাগালে, সেই গাছগুলোকে রক্ষা করা এবং
বড় করে তোলা একথায় অসম্ভব।
সরকারের আগামী পরিকল্পনাতেও
রোপিত গাছগুলো বাধা
হয়ে দাঁড়ায়।
ঙ)
অরণ্য সপ্তাহ অথবা
বনমহোৎসবে (১৪-২০ জুলাই) যারা গাছ
লাগাবেন তাঁরা এখন
থেকেই জমির খোঁজ করে রাখুন। পতিত
জমি হলে সবচাইতে
ভালো হয়।
চ)
বিগত বছরগুলোর
রোপিত গাছগুলোর পরিচর্চা-রক্ষাঘেরা-খাদ্য-পঞ্জিকরণ ইত্যাদি বিষয়ে নজর
করা মানবিকতার
নিদর্শন হোক।
ছ)
গাছরোপন কর্মসূচির
পরিকল্পনা ও ম্যাপ
স্থানীয় পঞ্চায়েত- পৌরসভা-পি ডাব্লু ডি-পরিবেশ দপ্তর-বনদপ্তরকে জানান। এবং এই দপ্তরগুলির সংগে
পরামর্শ করুন।
জ)গাছ নেবেন ৩/৪ বছর
বয়সী পুরানো গাছ।
তাহলে মাটিতে এই গাছগুলো সহজেই বেঁচে যাবে। ২/১ মাস বয়সী গাছ
নিলে তাপ ও
জলে মরে যায় বেশিরভাগ গাছ।
ঝ)
ছোটছোট শিশুদের
সংগে নিয়ে বাড়ির
টবে ফুলগাছ রোপন করার উৎসাহ দিয়ে চলুন। বাড়ির
অন্যান্যদের ছাদবাগান করার
উৎসাহ দিয়ে দিন। ৫ম থেকে ১০ম শ্রেণীর
ছাত্রছাত্রীদের Herbarium_Sheet
বানানোর জন্য
উৎসাহপ্রদান করা যেতে পারে।
ঞ)
বনসৃজন করার
পূর্বে আদিম জনজাতি-জনগোষ্ঠীর
অরণ্যরক্ষা ও অরণ্যবৃদ্ধি
করার ইতিহাস ও পদ্ধতি আমাদের জেনে নেওয়াটা
খুব উপকারে লাগবেই।
ট)
চারাগাছ সন্তানতুল্য।
রোপনকারী মাতৃতুল্য। গাছরোপন আর পরে গাছের মৃত্যুর কারন গর্হিত অপরাধ।
শ্রীরামকৃষ্ণদেবের উক্তি প্রণিধানযোগ্যঃ
“শুধু জন্মদিলেই হয় না মাতা,
যে’জন বোঝেনা সন্তানের ব্যথা”।
উৎসর্গঃ-
শ্রীমতি অলোকা ঘোষ। কোচবিহার
প্রতিবেদনে : অরূপ গুহ, ন্যাসগ্রুপ, কোচবিহার
[পাঠকের প্রতি বিশেষ অনুরোধ লেখাটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত অবশ্যই কমেন্ট বক্সে দেবেন ।]