
নির্বাচনী ইস্তাহার
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জয়ী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা আগামী পাঁচ বছরের জন্য শাসন ক্ষমতায় আসীন হবেন। বিরোধী দলগুলি সমালোচনা এবং আন্দোলনের মাধ্যমে শাসকদলকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। সংসদীয় রাজনীতিতে এটাই হচ্ছে মূল বিষয়বস্তু। ভারতবর্ষে এই মুহূর্তে দুটি জাতীয় দল, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেস রয়েছে। বামপন্থী দলগুলি, মূলত সিপিআইএম, সর্বভারতীয় দল হিসেবে বিবেচিত হলেও, তার রাজনৈতিক ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। কিন্তু বামপন্থীদের ভাবনা-চিন্তা ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পর থেকে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থেকে গেছে। বামপন্থী দলগুলির ক্ষমতা সীমিত হলেও ভারতীয় রাজনীতির ওলোটপালটে, উত্থান-পতনে তাদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলিও কোনোভাবে এটা অস্বীকার করতে পারে না। বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিআইএম ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে তাদের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। এই ইস্তাহারগুলি বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি বিষয় উঠে আসে যে, আজও কয়েকটি জরুরি বিষয় রাজনৈতিক দলগুলির ভাবনায় ব্রাত্য থেকে গেছে। বিষয়গুলি যথাক্রমে পরিবেশ সংকট, প্রবীণ নাগরিকদের জীবনযন্ত্রণা, পাট শিল্পের সংকট ও পরিযায়ী শ্রমিকদের দুঃখ কষ্ট।
পরিবেশ সঙ্কট
প্রথমেই আসা যাক পরিবেশ সংকটের বিষয়বস্তুতে। উপরে উল্লিখিত দলগুলির প্রকাশিত ইস্তাহারে পরিবেশে ব্যাপারটার উল্লেখ থাকলেও সেইভাবে এর সমস্যাগুলিকে কিন্তু ধরা হয়নি। এই মুহূর্তে তার এক অন্যতম জলন্ত উদাহরণ হল একজন মানুষ হিমালয়ের পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে অনশন করলেন, অথচ হিমালয়ের যথাযথ সংরক্ষণ নিয়ে একটি শব্দও এই রাজনৈতিক দলগুলির ইস্তাহারে দেখা গেল না। শুধু এটাই নয়, সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে খারাপ চেহারা, প্লাস্টিকের যে সমস্যা, দূষণ-আক্রান্ত নদীগুলির যে সমস্যা, তার সমাধান কবে কীভাবে হবে, সেসবের কোনও সীমারেখা এই ইস্তাহারে টানা হল না। যদিও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রকাশিত ইস্তাহারে অনেকগুলি বিষয়কে ধরার চেষ্টা রয়েছে। কংগ্রেসের ইস্তাহারটি যাঁরা তৈরি করেছেন, তাঁরা অন্তত পরিবেশের ব্যাপারে কিছুটা চিন্তাভাবনা করেছেন। কিন্তু নদী দূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব, প্লাস্টিক সমস্যা, সমুদ্র সৈকতের দূষণ এইসব নিয়ে তাঁরা কতটা কার্যকরী ভূমিকা বা ব্যবস্থা নিতে পারবেন, সে বিষয়ে কোনও কথা বলা নেই। পরিবেশের যে সমস্ত আইনকে শিথিল করে ফেলা হচ্ছে, ক্রমশ সে ব্যাপারে বামপন্থী দল সিপিআইএম তাদের ইস্তাহারে উল্লেখের চেষ্টা করেছে পরিবেশের ছাড়পত্র বিষয়ে। কিন্তু পরিবেশ ছাড়পত্রের ব্যাপারেও যে সততা থাকা দরকার, সে সততা আছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েই যায়। সন্দেহটা রয়ে যায় এই এই কারণে যে, আজ অব্দি ভারতবর্ষে কোন প্রকল্প পরিবেশ ছাড়পত্র পায়নি বলে যে সেটি বন্ধ হয়ে গেছে, তার নজির নেই।
সুতরাং পরিবেশ নিয়ে যেসব কথা বারবার বলা হচ্ছে, ভাবা হচ্ছে এবং আমরা যে সমস্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি সই করেছি, সেসব নিয়ে কিন্তু কোনও ভাবনা-চিন্তা নেই। রামসার-স্বীকৃত আমাদের পূর্ব-কলকাতার জলাভূমির দুরবস্থা সবাই জানেন। বিভিন্ন জায়গায় জলাভূমি শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। যত্রতত্র পুকুর বোজানো চলছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর মুখে কুলুপ। এমনকি এই নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বারবার প্লাস্টিক বা ফ্লেক্স ব্যবহার না করার অনুরোধ জানালেও একটি রাজনৈতিক দলও সে কথা রাখেনি। নির্বাচন মিটে গেলে যত্রতত্র পড়ে থাকা এই ফ্লেক্সগুলির কী হাল হবে কেউ জানে না। কারণ আমাদের সমাজে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাটি প্রায় অনুপস্থিতই থেকে গেছে।
প্রবীণ নাগরিক – অসহায় কিছু ম্লান মুখ
এরপরেই আসে প্রবীণ নাগরিকদের জীবন-যন্ত্রণার কথা। এ বিষয়ে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয়, বর্তমানে কেন্দ্রে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসীন, তারা ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে একটি ইস্তাহার প্রকাশ করেছিল। সেখানে পরিষ্কার বলা ছিল যে, তারা কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে প্রবীণ নাগরিকদের প্রতিমাসে পেনশন ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু ২০১৪ এর পর ১০ বছর কেটে গেলেও এ কথা রাখা হয়নি। বর্তমান সরকারের আগের সরকার যে ন্যূনতম পেনশন ১০০০ টাকা করে গেছিল, তার থেকে আর একটি পয়সাও বাড়েনি, অথচ এ নিয়ে বারবার প্রস্তাব করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের বিধায়ক ও সাংসদদের ভাতা ও মাইনে বাড়ছে। কিন্তু তারা কখনো ভেবে দেখেছেন কি একজন প্রবীণ নাগরিক কীভাবে মাত্র এক হাজার টাকায় প্রতি মাসে তার সংসারটা চালাতে পারেন? এ নিয়ে অনেক মামলাও দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু মামলা যাঁরা শুনবেন, তাঁদেরও এ বিষয়ে শোনার সময় নেই।
বৃদ্ধাবাস
প্রবীণ নাগরিকদের জীবন-যন্ত্রণা এখানেই শেষ নয়। দেশে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বৃদ্ধাবাস করার একটি আইন রয়েছে। এই আইনে বলা আছে প্রতিটি জেলায় একটি করে বৃদ্ধাবাস থাকবে। বৃদ্ধাবাসে কমপক্ষে ১৫০ জনের থাকার মতো বন্দোবস্ত থাকবে। যে সমস্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কোথাও যাবার ক্ষমতা নেই, নিজেদের ভরণ-পোষণের ক্ষমতা পর্যন্ত নেই, তারা এখানে এসে আশ্রয় নিতে পারবে। দুঃখের বিষয় হল, পশ্চিমবঙ্গের বুকে সরকার দ্বারা নির্মিত একটি বৃদ্ধাবাসও নেই। এমনকি বেসরকারি প্রচেষ্টায় যে সমস্ত বৃদ্ধাবাস গড়ে উঠেছে, সেখানে কী কী নিয়ম নীতি মানা হচ্ছে বা হবে, সেটি আজ পর্যন্ত স্থির করা গেল না। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। কিন্তু এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে মামলা শোনার সময় আমাদের মাননীয় বিচারকদের হয়নি। কারণ তাঁরা ভয়ানক ব্যস্ত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কখন কোথায় কী নিয়ে সভা-সমিতি-মিছিল করবেন, তা নির্ধারণ করে দিতে। ফলে আইন থাকা সত্ত্বেও প্রবীণ নাগরিকদের আশ্রয় কেন কার্যকরী করা হল না, সে কথা আড়ালেই থেকে গেল।
তাই প্রবীণ নাগরিকদের না আছে বৃদ্ধাবাসে মাথা গোঁজার ঠাই, না আছে তাদের প্রাপ্য সামান্য অর্থটুকু প্রাপ্তি। আজ এই সমস্ত প্রবীণ নাগরিকরা প্রশ্ন তুলছেন যে, কেন আমরা ভোট দেব? আমাদের জন্য কেউ কি কিছু ভাবে? কত রাজনৈতিক দল তো এল গেল, কত নির্বাচন পেরিয়ে গেল, কেউ তো ভেবে দেখল না যে, কেন আমাদের আজ এই চরম দুরবস্থা? আমরা ধুঁকতে ধুঁকতে আজ মৃতপ্রায়, তাও এই যন্ত্রণার কোন সুরাহা হল না।
ন্যায্য পাওনা ও কর্মসংস্থান
হাজার হাজার শ্রমিক অবসরের পর তাদের ন্যায্য সামান্য গ্রাচুইটি পাচ্ছেন না। মালিকরা তাদের এই টাকা দেয় না। শ্রম দপ্তর বা প্রশাসন কারোর এ ব্যাপারে কোন হেলদোল নেই। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যে পাটকল রয়েছে, সেখানকার শ্রমিকদের সবার প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ন্যায্য গ্রাচুইটি পাওনা আছে। দিনের পর দিন উচ্চ আদালতে মামলা হচ্ছে, কিন্তু এই মামলার কোন ফয়সালা নেই। এখানে একথাও বলা দরকার যে, দু’একজন অতি সম্মানীয় বিচারক এসেছিলেন যাঁদের দেখে শ্রমিকরা আশায় বুক বেঁধেছিল, কিন্তু সেই সমাধানের আগেই তাঁরা চলে গেলেন। সব রাজনৈতিক দলই বলছে কর্মসংস্থান করতে হবে। আমাদের রাজ্যে যে শিল্পের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়, তা হল পাট শিল্প। এটি পরিবেশ বান্ধব শিল্প। হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনা ও কলকাতা সহ যে সমস্ত জায়গায় পাটকল রয়েছে, সেখানে যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিধায়ক বা সাংসদ হবার জন্য নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন, সেখানে তাঁরা পাট শিল্প পুনরুজ্জীবনের জন্য কী একটি কথাও বলেছেন? বিগত ১০ বছরে কেন্দ্র ও রাজ্যে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসীন, তাঁরা কি এই নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা ভাবনা করেছেন? আজ প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয় হল পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন। কিন্তু পুনরুজ্জীবনের বদলে একটার পর একটা পাট শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, উৎপাদন ক্রমশ কমে আসছে। শ্রমিকরা এই শিল্প থেকে ক্রমশ মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে, কারণ তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুইটির ন্যায্য পাওনা চুরি হয়ে যায়। এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর সরকারি দপ্তর রয়েছে। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও কোন সুরাহা হয় না। শ্রমিকরা তাদের সামান্য পেনশনটুকুও যথাসময়ে পান না। শ্রম দপ্তরে একজন শ্রম-পরিদর্শকের পদ রয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে এই পরিদর্শনের ব্যাপারটাই প্রায় শিকেয় উঠেছে।
পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশা
এর পরের অতি জরুরি বিষয়টি হল পরিযায়ী শ্রমিকদের দুঃখকষ্ট। এটা ঠিকই যে, কয়েকটি রাজনৈতিক দল পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা অল্পবিস্তর উচ্চারণ করেছে। কিন্তু এই উচ্চারণের মধ্যে কোন অনুশোচনা নেই এদের দুঃখ কষ্টের জন্য। দুই কোটি পরিযায়ী শ্রমিক রাস্তার ধারে ও রেল লাইনের ধার দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মারা গেছে। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে যখন ছিন্নমূল বেশ কিছু মানুষ দেশভাগের পর এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় আসছিল, তখন যে ছবি আমরা দেখেছিলাম, সেই একই ছবি করোনা-কালে ২০২১ সালে আবার ফুটে উঠল আমাদের চোখের সামনে। কিন্তু রাষ্ট্র নির্বিকার। এটা নিয়েও একটা আইন আছে — আন্তঃ রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক আইন। কিন্তু সেটা কেউই কার্যকারী করেনি।
ভারতের জাতীয় কংগ্রেস, ভারতীয় জনতা দল এবং কমিউনিস্ট পার্টি দীর্ঘদিন কোন না কোন রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল বা আছে। এরা কি কেউ এটা নিয়ে ভেবেছে! একমাত্র কেরালা রাজ্যে কিছুটা কাজ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩৪ বছর ধরে কয়েকটি সমমনা রাজনৈতিক দল একসাথে ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু তারাও এই আইনটিকে কার্যকরী করে যায়নি। কেন যায়নি, এটাই আজকে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ভবিষ্যতেও যে কোন রাজনৈতিক দল এটাকে কার্যকরী করবে, সেটা নিয়েও কোন ভরসা নেই। এ নিয়েও উচ্চ আদালতে মামলা হয়েছে। তথ্যের অধিকার আইনের শ্রম দপ্তর জানাচ্ছে যে, তাদের কাছেও পরিযায়ী শ্রমিকদের সেরকম কোন নথিপত্র নেই। কিছুদিন আগে আমাদের রাজ্যের এক পরিযায়ী শ্রমিক বেঙ্গালুরুতে কাজের জন্য গেল, কিন্তু সে আর ফিরল না। এমনকি এও শোনা গেছে যে, বহু পরিযায়ী শ্রমিকের দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বাইরে চালান দেওয়া হয়। পরিযায়ী শ্রমিকরা আজ এইরকম এক চরম দুর্দশার মুখে দাঁড়িয়ে।
অতঃকিম্
আবার একটি নির্বাচন শুরু হওয়ার অপেক্ষায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইস্তাহার প্রকাশিত। জুন মাসে নির্বাচনের পর তার ফলাফল ঘোষিত হবে। কোন না কোন রাজনৈতিক দল কেন্দ্র সরকারের ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু এসব সমস্যার নিরসন কে করবে? রাজনৈতিক দলগুলি যদি এসব নিয়ে একান্তই না ভাবে, তাহলে সাধারণ মানুষ পাটকল শ্রমিকদেরই তাদের দুর্দশার কথা, পরিযায়ী শ্রমিকদেরই তাদের সমস্যার কথা, প্রবীণ নাগরিকদেরই তাদের জীবন-যন্ত্রণার কথা এবং পরিবেশ কর্মীদের পরিবেশ সঙ্কটের কথা আজ ভাবতে হবে যে, আগামী দিনে এইসব সমস্যা সমাধানে তারা কী কী পদক্ষেপ নেবেন। রবীন্দ্রনাথকে এ ক্ষেত্রে স্মরণ করতে হয় যে মানুষের উপর আস্থা হারানো পাপ। এই মানুষকে নিয়েই আগামী দিনে আমাদের সমস্যা সমাধানের পথে এগোতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে এ বিষয়ে ভাবাতেই হবে যে যদি তারা না ভাবে, তাহলে সমূহ বিপদ।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়, সমাজ ও পরিবেশকর্মী,
চলভাষ- ৮৪২০৫২৯৯৬৬,
ই-মেল: biswajit.envlaw@gmail.com
এবং
রাহুল রায়, পরিবেশকর্মী,
চলভাষ- ৯৪৩৩৫৭৫৩৬৪,
ই-মেল: rayrahul2263@yahoo.co.in
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………